সবে বইয়ের পাঁচ কি ছয় পৃষ্ঠা পড়েছি। এমন সময় এক সুন্দ্রি কথায় কথায় জানতে পারলো আমি [b:গাভী বিত্তান্ত 17402541 গাভী বিত্তান্ত Ahmed Sofa https://i.gr-assets.com/images/S/compressed.photo.goodreads.com/books/1419052689l/17402541.SY75.jpg 24237474] পড়তেছি। খুব উৎসাহ নিয়ে সে জানতে চেয়েছিল আসলেও কোন গাভী নিয়ে কিছু লেখা আছে নাকি। আমি তো বলেছিলাম [a:Ahmed Sofa 6896310 Ahmed Sofa https://images.gr-assets.com/authors/1362764842p2/6896310.jpg] ব্যঙ্গ করে উপন্যাস লিখেন, এটাও সম্ভবত এমন কিছুই হবে। পড়া শেষ করে আমি বেক্কল হয়ে গেছি। শুরু থেকেই নুরুন্নাহার বানু ডিকটেটরের মত প্রতিয়মান হয়েছেন আবু জুনায়েদের উপর। কথা কথায় শ্বশুরের টাকায় পড়ালেখা করার খোটা পিছু ছাড়ে নি উপাচার্য হয়ে যাবার পরেও। লোভ, ক্ষমতার স্বপ্ল মাত্রার অপব্যবহার, আর বানুর দাম্ভিকতা পরিবারের জন্য কাল হয়েছে। উপাচার্য জনাব আবু জুনায়েদ যে তরণীর সাথে গাভী ঘটিত কেলেঙ্কারি করেছেন সেটা নুরুনাহার বানুর চোখে ধরা পরে গেছে! খেলা শেষ, তরণী হচ্ছে বলির পাঠা
তিন গোয়েন্দা পড়া শুরু করেছিলাম ক্লাশ সেভেন থেকে যতটুকু মনে পরে। শুধু মাত্র তিন গোয়েন্দা পড়ার জন্য খুঁজে বের করেছিলাম কোন লাইব্রেরীতে বেশি পরিমানে তিন গোয়েন্দা মজুদ আছে। :p টিফিনের টাকা দিয়ে লাইব্রেরীর মেম্বার হয়েছিলাম মনে আছে। লেখকের প্রথম ভলিউম প্রথম পড়েছিলাম মনে হয় এসএসসি পরীক্ষার চলাকালে। আজকে আবারো পড়লাম। মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে করে ফিরিয়ে দাও স্কুলের দিন গুলি।
I read this book more than fifty times. I like this book, seriously love this book. Author Iqbal sir, finished this book in a great way.
সংক্ষিপ্ত পরিসরে এত সুন্দর একটি উপন্যাস লেখক এত বছর আগে লিখেছেন ভাবতেই অবাক লাগে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের হাজার সমস্যার মাঝে স্বপ্ন/ভালোবাসার প্রতিফলন ছিল অসাধারন। ৫ স্টার রেটিং আমার কাছে মন মনে হচ্ছে, ক্ষমতা থাকলে রেটিং আরেকটু বাড়িয়ে দিতাম।
সময়টা ১৭৬৪ ছিল বলেই হয়তবা এমন গল্পের অবতারণা হয়েছিল। সে সময় হিসেবে হোরাস ওয়ালপুল যে অসাধারণ গল্প লিখেছেন।
গল্পের শেষটা বাংলা চলচিত্রের মতই কেন হতে হবে! :p
ছবিটির শ্রেষ্ঠাংশেঃ লর্ড মানফ্রেড, রানী হিপোলিতা, তাদের সন্তান কনরাড ও মাতিলদা, ইসাবেলা, যাজক জেরাম, কৃষক থিওডোর।
প্বার্শ চরিত্রে আছেঃ মাতিলদা-ইসাবেলা-হিপোলিতার পরিচারক বিয়াঙ্কা, কিছু নাইট (যোদ্ধা) এবং গির্জার আরো কিছু যাজক। :p
রাজ্য চালাচ্ছে ক্ষমতার বলে আরেকজন, আসল জমিদারের বংশধর নাকি কৃষক বা গির্জার যাজক। লর্ড মানফ্রেড সুখের জন্য রানী হিপোলিতা সব বিসর্জন দিতে রাজি। ছেলের হবু বউ ইসাবেলাকে মনে ধরে দুষ্টু লর্ড মানফ্রেডের, ছেলের মৃত্যুর পরে নিজেই বিয়ে করতে চায় ইসাবেলাকে। ইসাবেলাকে নিয়ে পাট বা সরিষা ক্ষেতে দর্শন শাস্ত্র চর্চা করার ইচ্ছা থাকলেও লর্ড মানফ্রেড পারেন নি কৃষক থিওডোরের জন্য। ইসাবেলা যখন বাঁচাও বাঁচাও বলে দৌড়াচ্ছিল পালাবার জন্য তখনই আবির্ভাব হয় কৃষক থিওডোরের।
দুষ্টু মানফ্রেডের হাত বাঁচতে পেরে ইসাবেলা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে মন দেই দেহ দেই এই কৃষক থিওডোর কেই দিবো। দিবাস্বপ্নে বিভোর ইসাবেলার স্বপ্ন ছ্যাড়া ব্যাড়া করার জন্য ছবির পরিচালক হোরাস ওয়ালপুল মাতিলদাকে হাজির করেন এলাচি হিসেবে। দর্শকদের পরকীয়া প্রেমের স্বাদ দেয়ার জন্যেই পরিচালক ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করেছে বলে আমার বিশ্বাস। এই পরকীয়া প্রেমে সাহায্য করার জন্যে প্বার্শ চরিত্রে বিয়াঙ্কার আবির্ভাব ঘটছে।
দেখা যাচ্ছে হাজার বছর ধরে উপন্যাসের মন্তুর মতই আমাদের কৃষক থিওডোর। পার্থক্য হচ্ছে মন্তু নদীতে নৌকা বাইত আর থিওডোর ইসাবেলা বা মাতিলদার বুকে। :p
কাছের মানুষ ইসাবেলা দূরে রেখে মাতিলদার সাথে বলদা গার্ডেনে ঘুরতে দেখা যায় থিওডোর কে।
ঐ দিকে লর্ড মানফ্রেড এর মনে তখনো ইসাবেলা ধুরপাক খায়। শিল্পী আব্দুল জব্বারের গানের একটি লাইন বার বার গাইতে দেখা যায় লর্ড মানফ্রেড কে “আমার এত সাধের মন বধূয়া হায়রে কি জানি কি করে”। মানফ্রেড বুঝতে পারে নাই গ্রাইম্মা থিওডোর মাতিলদার সাথে বলদা গার্ডেনে ঘুরে। দুঃক্ষে কষ্টে লম্পট মানফ্রেড ঠিক করে ইসাবেলা খুন করবে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানফ্রেড খোঁজ পায় চাঁদনী রাতে চাষা থিওডোর ইসবেলাকে নিয়ে আম বাগানে ঘুরতেছে (হুম্ম হুম্ম)। অতঃপর মানফ্রেড অপারেশনে যায় নিজের তলোয়ার নিয়ে, চিন্তা ভাবনা না করেই থিওডোরের পাশে থাকা ইসাবেলার বুকে পকাত পকাত করে তলোয়ার চালিয়ে দেয় দুষ্টু মানফ্রেড। পরক্ষনেই নিজের ভুল বুঝতে পারে মানফ্রেড, যে তলোয়ার চালিয়েছে মাতিলদার বুকে। (হৃদয় বিদারক দৃশ্য)
পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য দুষ্টু মানফ্রেড বাকি জীবন গির্জার আশ্রমে কাটিয়ে দিবে বলে চিন্তা করে।
ছবিটির শেষাংশে উন্মোচিত হয়, থিওডোর হচ্ছে আসল জমিদারের বংশধর। এবং বাংলা চলচিত্রের মতই থিওডোরের (হ্লা লুইচ্চা) সাথে বিয়ে হয় ইসাবেলার। -_-
~সমাপ্তি~
“দ্য ক্যাসেল অফ অটরান্টো” কে যদি বাংলা চলচিত্রে রূপান্তর করা যেতে তাহলে উপরে যা লিখেছি তাই হলো। বিলিভ মি। :3
পড়ার শুরুতে ৫ রেটিং দিয়ে শুরু করেছিলাম, পড়া শেষে দেখলাম কিভাবে যেন ৩ রেটিং হয়ে গেল। এ কি অলৌকিক জিনিস দেখলাম আমি। :3
আচ্ছা ২য় সমগ্রে কি হবে? সন্তু আরেকটু বড় হবে। পরের সমগ্রে আরেকটু বড় হবে, বড় হতেই থাকবে হতেই থাকবে!? :/ একটু বয়স করতে পড়লাম বলেই কিনা রোমাঞ্চটা ঠিক পেলাম না তেমন। একঘেয়ে লেগেছে বলবো না, আহামরিও না। সময় পেলে সামনের সমগ্র গুলোও পড়ে দেখার ইচ্ছা আছে বৈকি।
You do not read this book in one sitting. You read it again and again, a page or a line or two at a time.
যদি কেউ আগে হিমু নিয়ে লেখা বই না পড়ে থাকে তাহলে বেশির ভাগ পাঠক ধরে নিবে হিমু চরিত্রের মৃত্যু হয়েছে এই লেখায়। :D
সারা বইয়ের কোন খোঁজ নাই। শেষ কালের এক লাইন লিখা দেখে সবাই হু হু করে ডুকরে ডুকরে কেঁদে দেয়।