Ratings52
Average rating2.9
সময়টা ১৭৬৪ ছিল বলেই হয়তবা এমন গল্পের অবতারণা হয়েছিল। সে সময় হিসেবে হোরাস ওয়ালপুল যে অসাধারণ গল্প লিখেছেন।
গল্পের শেষটা বাংলা চলচিত্রের মতই কেন হতে হবে! :p
ছবিটির শ্রেষ্ঠাংশেঃ লর্ড মানফ্রেড, রানী হিপোলিতা, তাদের সন্তান কনরাড ও মাতিলদা, ইসাবেলা, যাজক জেরাম, কৃষক থিওডোর।
প্বার্শ চরিত্রে আছেঃ মাতিলদা-ইসাবেলা-হিপোলিতার পরিচারক বিয়াঙ্কা, কিছু নাইট (যোদ্ধা) এবং গির্জার আরো কিছু যাজক। :p
রাজ্য চালাচ্ছে ক্ষমতার বলে আরেকজন, আসল জমিদারের বংশধর নাকি কৃষক বা গির্জার যাজক। লর্ড মানফ্রেড সুখের জন্য রানী হিপোলিতা সব বিসর্জন দিতে রাজি। ছেলের হবু বউ ইসাবেলাকে মনে ধরে দুষ্টু লর্ড মানফ্রেডের, ছেলের মৃত্যুর পরে নিজেই বিয়ে করতে চায় ইসাবেলাকে। ইসাবেলাকে নিয়ে পাট বা সরিষা ক্ষেতে দর্শন শাস্ত্র চর্চা করার ইচ্ছা থাকলেও লর্ড মানফ্রেড পারেন নি কৃষক থিওডোরের জন্য। ইসাবেলা যখন বাঁচাও বাঁচাও বলে দৌড়াচ্ছিল পালাবার জন্য তখনই আবির্ভাব হয় কৃষক থিওডোরের।
দুষ্টু মানফ্রেডের হাত বাঁচতে পেরে ইসাবেলা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে মন দেই দেহ দেই এই কৃষক থিওডোর কেই দিবো। দিবাস্বপ্নে বিভোর ইসাবেলার স্বপ্ন ছ্যাড়া ব্যাড়া করার জন্য ছবির পরিচালক হোরাস ওয়ালপুল মাতিলদাকে হাজির করেন এলাচি হিসেবে। দর্শকদের পরকীয়া প্রেমের স্বাদ দেয়ার জন্যেই পরিচালক ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করেছে বলে আমার বিশ্বাস। এই পরকীয়া প্রেমে সাহায্য করার জন্যে প্বার্শ চরিত্রে বিয়াঙ্কার আবির্ভাব ঘটছে।
দেখা যাচ্ছে হাজার বছর ধরে উপন্যাসের মন্তুর মতই আমাদের কৃষক থিওডোর। পার্থক্য হচ্ছে মন্তু নদীতে নৌকা বাইত আর থিওডোর ইসাবেলা বা মাতিলদার বুকে। :p
কাছের মানুষ ইসাবেলা দূরে রেখে মাতিলদার সাথে বলদা গার্ডেনে ঘুরতে দেখা যায় থিওডোর কে।
ঐ দিকে লর্ড মানফ্রেড এর মনে তখনো ইসাবেলা ধুরপাক খায়। শিল্পী আব্দুল জব্বারের গানের একটি লাইন বার বার গাইতে দেখা যায় লর্ড মানফ্রেড কে “আমার এত সাধের মন বধূয়া হায়রে কি জানি কি করে”। মানফ্রেড বুঝতে পারে নাই গ্রাইম্মা থিওডোর মাতিলদার সাথে বলদা গার্ডেনে ঘুরে। দুঃক্ষে কষ্টে লম্পট মানফ্রেড ঠিক করে ইসাবেলা খুন করবে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানফ্রেড খোঁজ পায় চাঁদনী রাতে চাষা থিওডোর ইসবেলাকে নিয়ে আম বাগানে ঘুরতেছে (হুম্ম হুম্ম)। অতঃপর মানফ্রেড অপারেশনে যায় নিজের তলোয়ার নিয়ে, চিন্তা ভাবনা না করেই থিওডোরের পাশে থাকা ইসাবেলার বুকে পকাত পকাত করে তলোয়ার চালিয়ে দেয় দুষ্টু মানফ্রেড। পরক্ষনেই নিজের ভুল বুঝতে পারে মানফ্রেড, যে তলোয়ার চালিয়েছে মাতিলদার বুকে। (হৃদয় বিদারক দৃশ্য)
পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য দুষ্টু মানফ্রেড বাকি জীবন গির্জার আশ্রমে কাটিয়ে দিবে বলে চিন্তা করে।
ছবিটির শেষাংশে উন্মোচিত হয়, থিওডোর হচ্ছে আসল জমিদারের বংশধর। এবং বাংলা চলচিত্রের মতই থিওডোরের (হ্লা লুইচ্চা) সাথে বিয়ে হয় ইসাবেলার। -_-
~সমাপ্তি~
“দ্য ক্যাসেল অফ অটরান্টো” কে যদি বাংলা চলচিত্রে রূপান্তর করা যেতে তাহলে উপরে যা লিখেছি তাই হলো। বিলিভ মি। :3