Ratings1
Average rating5
হানিফ সংকেতের একটা স্কিডে এক ডাক্তার আর আরেক আতেলের সংলাপ চলছিল, ‘আপনার অতি পবিত্র, বিজারিত, মণি মাণিক্য খচিত, মধুর গন্ধে সুরভীত...' আজ কমলাকান্ত পড়তে গিয়ে বুঝলাম লাইনটা এইখান থেকে একটু অন্যভাবে কয়েকটা শব্দ পাল্টে মেরে দেয়া।
বইটি বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত চরিত্রটি নিয়ে সব লেখার সংকলন। মূলত রম্যরচনা, তবে তার বাইরেও অনেককিছু আছে। পরিহাসের ধরণ সুক্ষ্ম, নীচশ্রেণীর রগড় না। এর ভিতরে আছে কমলাকান্তের জোবানবন্দি, যা আমাদের উচ্চমাধ্যমিক বাঙলা বইয়ে সংক্ষিপ্তভাবে থাকলেও পাঠ্যক্রমে ছিল না। তাছাড়া আছে ৫টি পত্র এবং ১৪টি প্রবন্ধ নিয়ে কমলাকান্তের দপ্তর।
বঙ্কিম সেকুলার মানুষ ছিলেন না, গোঁড়া হিন্দুই বলা যায় তাঁকে। কমলাকান্তের যুক্তি ও বিবেচনায় তার ছাপ আছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। তবে অধিকাংশই সাদামাটা শুভবুদ্ধিপ্রসূত বলে সমস্যা হয়নি তেমন।
চরিত্রটি অনবদ্য, আফিমখোর ব্রাহ্মণ বৃদ্ধ কমলাকান্ত তার তীক্ষ্ণ রসিকতায় অনেক সামাজিক অসঙ্গতিকে বিদ্ধ যেমন করেছেন, বলেছেন মানবিক দুঃখের কথাই। আসলে, চোখে জল না এলে রম্যরচনাও তার সর্বোচ্চ অবস্থানে সহসা যেতে পারেনা।