Ratings1
Average rating2
ব্যাস, পরপর দুটো বই হিট করেছে, এবার শুরু হয়ে গেছে আলতুফালতু লেখা।
ভাবলাম, অনেক দিন পরে নতুন একজন ভালো গোয়েন্দা চরিত্রের আগমন ঘটেছে বাংলা সাহিত্যে। ও বাবা, এই বইতে দেখি কাহিনিটাও পুরোপুরি গুছিয়ে শেষ করবার গরজ দেখাননি লেখকমশাই, রহস্যের অর্ধেক সমাধান করেই বই খতম! এরকম কাণ্ড জীবনে এই প্রথমবার দেখছি।
আশাহত!
(আরও কিছু কথা। “নোয়াপাতি ভুঁড়ি” কথাটা বেশ কয়েকবার ব্যবহার করা হয়েছে। নোয়াপাতি নয়, “নেয়াপাতি”। হোটেলের রেজিস্টার খাতাকে একাধিকবার লেখা হয়েছে “রেজিস্ট্রার খাতা”। একই ভুল বারবার হলে সেগুলো স্রেফ “ছাপার ভুল” বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং আয়ান রশীদ অনূদিত “গালিবের কবিতা” বইটির অনুবাদ করা হচ্ছে ১৯৮৩ সালে— এমনটা দেখানো হয়েছে। ১৯৮৯ সালের কলকাতার স্টোনম্যান হত্যার ঘটনাও চলে এসেছে ১৯৮৩ সালে। যদিও ক্রিকেটার কপিল দেব-এর নাম যথাযথ সময়েই উল্লেখ করা হয়েছে। সাল তারিখ সংক্রান্ত এই বিচ্যুতিগুলো কি সব “অ্যানাক্রনিজম”-এর কাঁধে চাপিয়ে দেবো?
কাহিনি নির্মাণ, ভাষার ব্যবহার, ডিটেইলিং— সবদিক দিয়েই অযত্নের ছাপ। কবীর সুমনের গানের লাইন আছে : “সাহিত্য মরে পুজো সংখ্যার চাপে”। এই উপন্যাস তো পুজো সংখ্যায় বেরোয়নি, তাহলে কীসের চাপে মরলো? প্রকাশকের চাপে? নাকি “ব্যাধ”-এর চাপে?)