Ratings9
Average rating4.7
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় কে নির্ভর করে গড়া ওঠা উপন্যাস না বলে, ৯টি মাসের একটি টাইমলাইন বলা যেতে পারে।
কোন উপন্যাস পড়ার আগে আমি কখনো সেটার রিভিউ পড়ি না। কিন্তু এই উপন্যাসেরটা পড়েছিলাম। অনেকের জ্ঞানগর্ভ থেকে অনেক বিশ্লেষণ উঠে এসেছে।
উপন্যাসিকের পরিবারের কে রাজাকার ছিল, কেন তিনি উপন্যাসে দুষ্টু রাজাকার নিয়ে লেখেন না, হ্যানত্যান হ্যানত্যান হ্যানত্যান এই সব বিস্তারিত অনেক কিছু লেখা আছে অন্য রিভিউ গুলোতে।
প্রমথ চৌধুরী, ‘সাহিত্যে খেলা' [প্রথম প্রকাশ- সবুজপত্র, শ্রাবণ সংখ্যা, ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ)
পরে প্রবন্ধসংগ্রহ (১৯৫২)-এ সংকলিত] , লিখেছেন “সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া- কারও মনোরঞ্জন করা নয়। কাব্যজগতে যার নাম আনন্দ, তারই নাম বেদনা।”
উপন্যাস পড়ে আপনার মনোরঞ্জন হতে নাই পারে তাই বলে কাঁদা ছুঁড়ে মারা ঠিক হবে না।
ঐতিহাসিক সময়ের উপরে লেখা হলেও ফিকশন ধাঁচের। পুরো উপন্যাসের তিনটি জায়গার লেখা হুবহু তুলে দেয়ার ইচ্ছা সংবরন করতে পারছি না।
শাহেদ হেঁটে হেঁটে ফিরছে, এই সময় শহরে মিলিটারি নামল। রাতটা হোল ২৫ মার্চ, ১৯৭১। (১৩৫ পৃষ্ঠা, ৮ম সংস্করণ)
কংকন কাঁদছে। প্রথমে নিঃশব্দে কাঁদছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই দু'হাতে মুখ ঢেকে শব্দ করে কাঁদতে শুরু করলো। এপার্টমেন্টর বেল বাজছে। হয়তো কংকনের স্বামী আর সন্তানকে ছবি দেখিয়ে ঘরে ফিরছে। কংকন দরজা খোলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে না। সে প্রাণপণ চেষ্টা করছে নিজের কান্না থামাতে। রোরুদ্যমান তরুণী দিকে তাকিয়ে হটাত আমার মনে হোল, কংকন কাঁদছে না। কাঁদছে আমার বাংলাদেশ। আমার জননী।” (৩৬১ পৃষ্ঠা,৮ম সংস্করণ)
নাইমুল কিন্তু তার স্ত্রীকে ধরে ছিল না। তার হাত এখনো প্রসারিত। কঠিন হাতে নাইমুলকে জড়িয়ে ধরেছিল মরিয়ম নিজেই। পাঠক, মহান বিজয় দিবসে যে গল্প শেষ হবে সেই গল্প আনন্দময় হওয়া উচিত বলেই আমি এরকম একটা সমাপ্তি তৈরি করেছি। (শেষ পৃষ্ঠা)
আপনি আনন্দিত হলে উপন্যাস পড়ার মাঝে মাঝেই দেখবেন কারণ ছাড়াই আপনার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। আর আপনার মনোরঞ্জিত না হলে ১ স্টার দেয়া রিভিউ গুলোর মত ত্যানা প্যাচাবেন।