Ratings1
Average rating4
We don't have a description for this book yet. You can help out the author by adding a description.
Reviews with the most likes.
মাতৃভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসাও আছে আবার অবহেলাও আছে। ভালোবাসার মানুষকে অবহেলা করার মতো। যদিও এমনটা যে করা উচিত নয় তা আমরা সবাই জানি। আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে বাংলা ভাষাতেই কথা বলি, চিন্তা করি, স্বপ্ন দেখি। কিন্তু মুখের ভাষা আর লেখার ভাষায় তো পার্থক্য আছে। মুখের ভাষার বাক্যগঠন আর লেখার ভাষার বাক্যগঠন অনেকটাই আলাদা। তাই ভাষাকে যদি ভালোবাসি, তাহলে লেখার সময় আমরা সবাই আরেকটু যত্নবান হলে আখেরে বাংলা ভাষারই উপকার হয়। অনেকে আছেন যারা নিয়ম ভাঙতে চান। কিন্তু নিয়ম ভাঙার আগে নিয়মগুলো না জানলে কেমনে কী?! একটা ভাষা গড়ে ওঠে শত শত বছরের পরিচর্যায়। তাকে নাড়াচাড়া করার সময় একটু যত্নবান হওয়া উচিত নয়, বলুন?
অভিধান থেকে সাধারণত আমরা শব্দের অর্থ খুঁজে বের করি। অনেকসময় কোনো একটি শব্দের সঠিক বানানের খোঁজ করতেও অভিধানের শরণাপন্ন হই। সাধারণ অভিধানের সঙ্গে ‘প্রয়োগ অভিধান'-এর পার্থক্য আছে। প্রয়োগ মানে বাংলা ভাষার বিভিন্ন শব্দের ব্যবহার কিংবা ব্যাকরণসম্মত প্রয়োগ। ‘ওতপ্রোত' লিখবো নাকি ‘ওতঃপ্রোত'? যেটা লিখবো সেটা ক্যানোই বা লিখবো? ‘ছন্দপতন' লিখবো নাকি ‘ছন্দোপতন'? ‘ইতিমধ্যে' কিংবা ‘ইতিপূর্বে'— এই দুটো শব্দ নাকি ভুল। ক্যানো ভুল? তাহলে সঠিক বানান কোনটা? এমনিতে দেখতে গেলে ভাষা নিয়ে এত খুঁটিনাটি তলিয়ে ভাবার কি আদৌ কোনো দরকার আছে? ভাষাকে ভালোবাসলে অবশ্যই দরকার আছে। আর অবহেলা করলে দরকার নেই।
যে বইগুলো সবসময় আমার হাতের কাছাকাছি থাকে, তার মধ্যে এটি একটি। যেমন খানিকক্ষণ আগেই ভাবছিলাম, ‘কোনো' এবং ‘কোনও' শব্দদুটির পার্থক্য কী? জানিয়ে রাখি, এই দুটো শব্দের অর্থগত আদৌ কোনো পার্থক্য নেই। দুটো বানানই লেখা যেতে পারে। কিন্তু একটি রচনায় যেকোনো একটি বিকল্প লেখা বাঞ্ছনীয়। প্রসঙ্গত, প্রায় একই ধাঁচের আরেকটি খুব কাজের বই আছে। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সম্পাদিত “বাংলা কী লিখবেন কেন লিখবেন”। যারা শুদ্ধ বাংলা লিখতে আগ্রহী, এই বই দুটি তাদের পড়ার টেবিলে না থাকলেই নয়! ভাষাকে অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করতে এই দুটি বই রীতিমত অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে! তাই বলে “self-appointed ভাষা-Nazi” হতে হবে না! অন্যের বানান ভুলও ধরতে হবে না (ধরলেও সবার সামনে নয়, আড়ালে জানাতে হবে