Ratings97
Average rating3.9
যদি লাতিন আমেরিকাকে বলা হয় ম্যাজিক-রিয়ালিজম সাহিত্যধারার আঁতুড়ঘর, শুনেছি এই উপন্যাসকে গণ্য করা হয় এই বিশেষ ধারাটির অগ্রপথিক হিসেবে।
আমার একদম ভালো লাগলো না পড়ে। একরৈখিক ন্যারেশনের বদলে একটা নতুনরকম রচনারীতি প্রয়োগ করেছেন লেখক। অতীত ও বর্তমানের কালসীমাকে ভেঙেচুরে একত্রে মিশিয়ে দিয়েছেন। বিনা-নোটিশে কাহিনির কথক পাল্টে গেছে বারবার। অর্থাৎ, বলা নেই-কওয়া নেই, আচমকা স্থান-কাল-পাত্র বদলে বদলে যাচ্ছিলো। এই বদল এতোটাই আচমকা ঘটছিল যে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা দুষ্কর হয়ে পড়েছিল। এইসবই নতুনত্ব কিংবা অভিনবত্বের প্রয়োজনে, বুঝলাম। কিন্তু পড়ার সময় প্রচণ্ড বিরক্তি লেগেছে আমার।
কাহিনিটি— আক্ষরিক এবং প্রতীকী— দুটো অর্থেই “কিম্ভুত”। কাহিনির গতি অতি ধীর। ন্যারেটিভ টেনশন প্রায় নেই বললেই চলে। গদ্যের গঠনশৈলী অতি কষ্টদায়ক। কিন্তু এগুলো তো কোনো সমস্যা নয়! সমস্যা হলো, কাহিনির মাধ্যমে লেখক যেটা বোঝাতে চেয়েছেন (আদৌ যদি “বিশেষ” কিছু বোঝাতে চেয়ে থাকেন) সেটা আমি ধরতে পারিনি। অলৌকিক বিষয়গুলো বাদ দিলেও, পেড্রো পারেমোর জীবনের মূল গল্পটারও মাথামুন্ডু কিসুই বুঝলাম না। একটা দুর্বোধ্য জটিল আবছায়াময় ঘোলাজলে ডুবে ছিলাম ৯৫-পৃষ্ঠাব্যাপী।
পাঠক হিসেবে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। বোধ-বুদ্ধি-অনুভূতির ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আছে। সবকিছু বিবেচনা করেই বলছি, এত অনর্থক ক্লান্তিকর উপন্যাস আমি জীবনে খুব কম পড়েছি। গুগল সার্চ করে এই উপন্যাসের বিশ্লেষণ এবং সারমর্মে চোখ বুলিয়ে নিলে লেখাটার “প্রকৃত” অর্থ হয়তো আরেকটু ভালো বুঝতে পারতাম। কিন্তু, উপন্যাসের প্রাথমিক মর্মার্থ উদ্ধারের জন্যেও গুগলের সাহায্য নিতে হবে, এটা মাইরি একটা কথা হলো?
সেনর মার্কেজ, আপনার রেকমেন্ডেশন আমার কাছে
একদমই সুবিধের লাগলো না!